ভারতবর্ষে সুলতানি শাসনের অবসানের পর থেকেই বাবরের হাত ধরে মোগল বা মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা হয়। দীর্ঘ কয়েক দশক সুশাসন ও সাম্রাজ্য বিস্তার করার পর ঔরঙ্গজেবের পরবর্তী সময়ে মুঘল সাম্রাজ্যের পতন (Causes of Decline of the Mughal Empire) ধীরে ধীরে সংঘটিত হয়েছিল।
মুঘল বা মোগল শব্দটির উৎপত্তি মঙ্গো শব্দ থেকে। যার অর্থ হল নির্ভীক বা সাহসী। মোগলরা মধ্য এশিয়ার চাকতাই-তুর্কি নামে পরিচিতি হলেও ভারতবর্ষে এরা মোগল বা মুঘল বা মোঘল নামে পরিচিত ছিল। মুঘলরা ভারতে দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছিল। মুঘল সাম্রাজ্যের কয়েকজন উল্লেখযোগ্য শাসকগন হলেন – বাবর, শেরশাহ, আকবর, শাহজাহান ঔরঙ্গজেব প্রমুখ উল্লেখযোগ্য।
মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের কারণ | Causes of Decline of the Mughal Empire
মুঘল সাম্রাজ্য বাবরের হাত ধরে শুরু হয় এবং ঔরঙ্গজেবের পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়। তাই মুঘল সাম্রাজ্যের শাসকগণের নাম মনে রাখতে অনেকে একটি মজার ছড়া উপস্থাপন করেন – সেটি হল –
বাবার হইলো আবার জ্বর, সারিল ঔষধে। অর্থাৎ এই ছড়া অনুযায়ী মুঘল শাসকগণ হলেন –
বাবার = বাবর
হইলো = হুমায়ুন
আবার = আকবর
জ্বর = জাহাঙ্গীর
সারিলো = শাহজাহান
ঔষধে= আঔরঙ্গজেব
যাই হোক মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিপত্তি ও বিস্তার নিয়ে কারোর মনে কোনো সন্দেহ নেই। দীর্ঘ কয়েক দশক শাসন ও রাজ্য বিস্তার করার পর কালের নিয়মে ও বিভিন্ন কারণে মুঘল সাম্রাজ্যের পতন ঘনিয়ে এসেছিল। মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের কারণ গুলি নিম্নে আলোচনা করা হল –
1. জায়গিরদারীর সংকট
সাম্রাজ্যের পতনের পশ্চাতে জায়গীরদারী সংকট পরিলক্ষিত হয়। অর্থাৎ অভিজাত্যের স্বার্থপরতা ও গোষ্ঠী গঠনের মূলে ছিল জায়গীরদারের স্বল্পতা। মূল্যবান এবং অতিরিক্ত জায়গীরদারের আশায় মুঘল অভিজাতদের মধ্যে গোষ্ঠীগত প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও সংঘর্ষের বীজ দানা বেঁধে উঠেছিল।
2. ঔরঙ্গজেবের উত্তরাধিকারীদের আমলে রাজত্বের দ্রুত অবক্ষয়
‘আমার মৃত্যুর পরেই আসবে প্লাবন’ – ঔরঙ্গজেবের এই উক্তিটির মাধ্যমে মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের কারণ কিছুটা আভাস পাওয়া যায়। তাই দীর্ঘ ৫০ বছর রাজ্য শাসন করার পর ঔরঙ্গজেবের শেষ জীবনে মঙ্গল সাম্রাজ্যের ভাঙ্গন শুরু হয়ে যায়।
তাছাড়া ঔরঙ্গজেবের পরে উপযুক্ত শাসকের অভাবে মুঘল সাম্রাজ্যের দ্রুত অবক্ষয় শুরু হয়। ঔরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর ঔরঙ্গজেবের তিন পুত্র পিতার নির্দেশ কে অমান্য করে সিংহাসনের দখলে নেমে পড়েন। ফলে মুঘল সাম্রাজ্যের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও উপযুক্ত শাসকের অভাবে মুঘল সাম্রাজ্যের পতন অবসম্ভাবী হয়ে ওঠে।
3. আঞ্চলিক বিদ্রোহ
মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের কারণ হিসেবে দায়ী বিভিন্ন আঞ্চলিক বিদ্রোহ। অর্থাৎ ভারতবর্ষের বিভিন্ন জায়গায় সংঘটিত বিভিন্ন আঞ্চলিক বিদ্রোহ তৎকালীন মুঘল শাসকেরা দমন করতে পারেননি। এই আঞ্চলিক বিদ্রোহের মধ্যে অন্যতম ছিল রাজপুতদের বিদ্রোহ, মারাঠা বিদ্রোহ, শিখ বিদ্রোহ প্রভৃতি।
4. প্রশাসনিক অবক্ষয়
মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের কারণ হিসেবে দায়ী সবথেকে বেশি তার মধ্যে অন্যতম হলো প্রশাসনিক অবক্ষয়। বিশেষ করে ঔরঙ্গজেবের শাসনকালে। তাছাড়া ঔরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর থেকে প্রশাসনের অবক্ষয় দ্রুত সংঘটিত হয় এবং মুঘল সাম্রাজ্যের সর্বত্র আইন-শৃঙ্খলার অবনতি দেখা দেয়।
তাছাড়া সমস্ত স্তরের রাজকর্মচারীদের মধ্যে দুর্নীতি, বিশৃঙ্খলা, অদক্ষতা প্রভৃতি মুঘল শাসকেরা দমন করতে পারেননি। ফলে বিভিন্ন দিকে বিদ্রোহ ক্রমশ ঘনীভূত হয় যা মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের জন্য অনেকাংশে দায়ী।
5. অর্থনৈতিক বিপর্যয়
মুঘল শাসকেরা ছিল অতিরিক্ত আমদ প্রমোদে ব্যস্ত। যার ফলে রাজকোষের অর্থের ঘাটতি বিভিন্ন সময় পরিলক্ষিত হতো। তাছাড়া ঔরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর অর্থনৈতিক বিপর্যয় নেমে আসে এবং রাজকোষ একেবারে শূন্য হয়ে যায়।
তাছাড়া অতিরিক্ত কর লাভের আশায় কৃষক, শ্রমিক শ্রেণী, কারিগর ও বণিকদের উপর অতিরিক্ত কর ধার্য করা হতো এবং মুঘল দরবারে অনাবশ্য মুঘল সম্রাটগণ জাঁকজম ক ও ব্যয়বহুল মুঘল হারেম প্রভৃতি মোঘল সাম্রাজ্যের অর্থনৈতিক অবনতি ঘটিয়েছিল। এর ফলে মুঘল সাম্রাজ্য বেশিদিন স্থায়িত্ব লাভ করেনি।
6. অভিজাত শ্রেণীর নৈতিক অবনতি
মুঘল সাম্রাজ্যের শেষের দিকে অভিজাত শ্রেণীর নৈতিক অবনতি বা চারিত্রিক অবনতির কারণে তারা ক্রমে আরামপ্রিয় ব্যভিচারী হয়ে ওঠেন। এমনকি যুদ্ধের সময়ও তারা যুদ্ধ শিবিরে আমত প্রমোদের ব্যস্ত থাকতেন। এই যুগে অভিজাত শ্রেণীর শিক্ষা-দীক্ষার কিছুই ছিল না। অতিরিক্ত আমদ প্রমোদের ফলে এদের মধ্যে অনেকেই যুদ্ধ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছিল যা মুঘল সাম্রাজ্যের পতনকে অনিবার্য করে তুলেছিল।
7. কৃষক অসন্তোষ
মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের কারণ ছিল কৃষক অসন্তোষ। কারণ মুঘল শাসকেরা অতিরিক্ত আমোদ প্রমোদের জন্য কৃষকদের উপর জোর করে কর আদায় করতো।
এছাড়া অভিজাতদের জায়গীরদারের অত্যাচার ও ইজারা প্রথা (কৃষকদের উপর অতিরিক্ত কর আদায়) কৃষকদের ওপর অত্যাচারের সীমা ছাড়িয়ে যায়। ফলে কৃষকদের মধ্যে অসন্তোষ ও বিদ্রোহ দানা বেঁধে উঠেছিল।
8. নাদির শাহ ও আহম্মদ-শাহ-আবদালীর ভারত আক্রমণ
মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের কারণ হিসেবে নাদির শাহ ও আহম্মদ-শাহ-আবদালীর ভারত আক্রমণকে দায়ী করা হয়। অর্থাৎ মুঘল সাম্রাজ্যের দুর্দিনে ১৭৩৯ খ্রিস্টাব্দে পারস্য সম্রাট নাদির শাহ ভারত আক্রমণ করে বসে এবং দিল্লি লুট করেন।
ফলে রাজধানীর অগন্তি মানুষ আহত নিহত হয় এবং দিল্লি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। নাদির শাহর আক্রমণে মুঘলদের ময়ূর সিংহাসন ও প্রচুর ধনরত্ন নিয়ে স্বদেশে ফিরে যান।
এছাড়া নাদির শাহের আক্রমণের কিছুদিন পর ১৭৪৮ সালে আফগানিস্তানের রাজা আহম্মদ-শাহ-আবদালি ভারত আক্রমণ করেন এবং পাঞ্জাব দখল করেন এবং এরপর তিনি কয়েকবার ভারতে আসেন এবং দিল্লি লুট করেন।
এই দুই আক্রমণ মুঘল শাসকেরা প্রতিহত করতে পারেননি ফলে মুঘল সাম্রাজ্যের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় ও মুঘল সাম্রাজ্যের পতন দ্রুত ঘনিয়ে আসে।
9. ইংরেজ শক্তির আধিপত্য
মুঘল সাম্রাজ্যের শেষের দিকে ইংরেজদের আধিপত্য বিস্তার মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের জন্য বিশেষভাবে দায়ী। অর্থাৎ মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের পরবর্তী সময়ে ভারতবর্ষে ইংরেজ শক্তির আধিপত্য বা ইংরেজ শাসনের যুগ শুরু হয়।
তাই ঔরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর মুর্শিদকুলি খাঁ -এর সময়ে ইংরেজরা স্বাধীনভাবে রাজ্য শাসন করতে থাকে এবং পরবর্তীকালে মুঘল সাম্রাজ্যের সিরাজ -উদ-দৌলা বাংলার নবাব হলে ইংরেজদের সাথে বিবাদ শুরু হয়। এবং ১৭৫৭ সালের ইংরেজদের সঙ্গে পলাশীর যুদ্ধে সিরাজ -উদ-দৌলার পরাজয় ঘটলে মুঘল সাম্রাজ্যের অবসান ঘটে। সাথে সাথে ভারতবর্ষে ইংরেজ শাসনের সূচনা পর্ব শুরু হয়।
এগুলি ছাড়াও মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের জন্য আরোও যে সমস্ত কারণ ঐতিহাসিকবিদগণ মনে করেন সেগুলি হল –
i) প্রাদেশিক শাসনকর্তাদের স্বশাসন,
ii) সামরিক শক্তির উপর গুরুত্ব আরোপ
iii) নৌ শক্তির অভাব
iv) বৈদেশিক আক্রমণ
v) মুঘল সাম্রাজ্যের বিশালতা
vi) মুঘল সম্রাটদের অতিরিক্ত আমোদ প্রমদ,
vii) ঔরঙ্গজেবের ধর্মান্ধতা প্রভৃতি। তবে আধুনিক ঐতিহাসিকগণ মোগল বা মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের কারণ হিসেবে ঔরঙ্গজেবের ধর্মান্ধতাকে একমাত্র কারণ হিসেবে দায়ী করেন না।
মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের ফলাফল
মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের ফলে ভারতের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়। অর্থাৎ মুঘল সাম্রাজ্যের পতন ভারতবর্ষের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রভাব ফেলেছিল। মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের ফলাফল গুলি হল –
সাম্রাজ্যবাদী শক্তির উত্থান
মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের ফলে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির উত্থান ঘটে। বিশেষ করে ইংরেজ এবং ফরাসিরা ভারতবর্ষে পাকাপাকিভাবে শাসন কায়েম করে। অর্থাৎ মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের সাথে সাথে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতবর্ষে আরও বেশি শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
অর্থনৈতিক অবনতি
মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের সাথে সাথে ভারতবর্ষে অর্থনৈতিক অবনতি ঘটে। অর্থাৎ কৃষি ও ব্যবসায়িক বিভিন্ন দিকে আর্থিক দিক দিয়ে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাছাড়া ব্রিটিশরা মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের পর ক্ষমতা দখল করলে ভারতীয়দের মধ্যে স্থানীয় ব্যবসা-বাণিজ্য হ্রাস পায় ও অর্থনৈতিক সংকট দেখা দেয়।
সামাজিক প্রভাব
মুঘল সাম্রাজ্যের পতন সামাজিকভাবে ব্যাপক প্রভাব সৃষ্টি করেছিল। বিশেষ করে ভারতীয় সংস্কৃতি, ভাষা, স্থাপত্যে এর প্রভাব পড়ে। যেমন – মুঘলরা ভারতবর্ষে ইসলামিক সংস্কৃতির প্রসার ঘটালেও পরবর্তীকালে ব্রিটিশদের পাশ্চাত্য সংস্কৃতি ও শিক্ষার প্রতি মানুষ নির্ভর হয়ে পড়ে। ফলে ধীরে ধীরে সামাজিক বিভিন্ন দিকের পরিবর্তন সূচিত হয়।
শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন
মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের সাথে সাথে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির দ্বারা ভারতবর্ষের শাসন ব্যবস্থা শুরু হয়। অর্থাৎ ব্রিটিশ সরকার সারা ভারতবর্ষের একছত্র শাসন ব্যবস্থা কায়েম করে।
উপসংহার
পরিশেষে বলা যায়, যেকোনো সাম্রাজ্যের উত্থানের সাথে সাথে পতনের দিকনির্দেশ গ্রথিত থাকে। হরপ্পা সভ্যতা, মৌর্য সাম্রাজ্য প্রভৃতির মত মুঘল সাম্রাজ্যের বিস্তার সাধন হলেও কালের স্রোতে ধীরে ধীরে মুঘল সাম্রাজ্যের পতন (Causes of Decline of the Mughal Empire) ঘনিয়ে আসে।
তথ্যসূত্র (Sources)
- Allaby, R. G. (2016) “Evolution .“Encyclopedia of Evolutionary Biology”. Ed. Kliman, Richard M. Oxford: Academic Press,19–24.
- Boyd, Brian. (2017) “Archaeology and Human-Animal Relations: Thinking through Anthropocentrism.” Annual Review of Anthropology 46.1, 299–316. Print.
- Online Sources
প্রশ্ন – মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের কারণ কি
উত্তর – মুঘল সাম্রাজ্যের পতন কোনো একটি সুনির্দিষ্ট কারণে ঘটেনি। এর বিভিন্ন কারণ পরিলক্ষিত হয়। যথা – প্রশাসনিক দুর্বলতা, অর্থনৈতিক অবক্ষয়, ইংরেজ শক্তির উত্থান, ঔরঙ্গজেবের ধর্মান্ধতা, সঠিক উত্তরাধিকারীদের অভাব, বিভিন্ন আঞ্চলিক বিদ্রোহ, নাদিরশাহের ভারত আক্রমন প্রভৃতি।
প্রশ্ন – মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের কারণ গুলি উল্লেখ করো
উত্তর – মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের কারণগুলি হল – সামরিক দুর্বলতা বা নৌ শক্তির অভাব, অর্থনৈতিক দুর্বলতা, বৈদেশিক শক্তির আক্রমণ, ইংরেজদের আধিপত্য বিস্তার, কৃষক অসন্তোষ, ঔরঙ্গজেবের ধর্মান্ধতা, মুঘল সাম্রাজ্যের বিশালতা বা বিশাল আকৃতি প্রভৃতি।
প্রশ্ন – মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের কারণ কোন যুদ্ধ
উত্তর – মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের কারণ সিরাজউদ্দৌলা সাথে ইংরেজদের যুদ্ধ। অর্থাৎ ১৭৫৭ সালের পলাশীর যুদ্ধের ফলে সিরাজউদ্দৌলা ইংরেজদের কাছে পরাজিত হলে মুঘল সাম্রাজ্যের পতন ঘটে।
আরোও পোস্ট পড়ুন
- লেখ্যাগারের প্রকারভেদ বা শ্রেণিবিভাগ | 8 Main Types of Archives
- লেখ্যাগারের কার্যাবলী আলোচনা | Function of Archives in History
- লেখ্যাগার বা মহাফেজখানা কাকে বলে | Archives in History
- সংগ্রহশালার গুরুত্ব আলোচনা করো | 10 Importance of Museum
- সংগ্রহশালার প্রদর্শন নীতি আলোচনা করো | 10 Museum Exhibition Policy
- সংগ্রহশালার কার্যাবলী আলোচনা | 8 Main Function of Museum